যেকোনো বয়সে বাবা বা মা যদি সঙ্গীহারা হয়ে যায়, সন্তানদের জন্য জরুরি, তাদের বিবাহের ব্যবস্থা করা। আর তারা যদি নিজেই বিবাহের সিদ্ধান্ত নেয়, এই ক্ষেত্রে কোনো সন্তান যদি বাবা বা মায়ের হালাল বিয়ের বিরোধীতা করে, (عقوق الوالدين) এর অন্তর্ভুক্ত হবে, অবাধ্য সন্তান হিসেবে বিবেচিত হবে।
আমরাতো প্রায় প্রতিটা দোয়ায় এটা পড়ি:
ربي ارحمهما كما ربياني صغيرا
মুহতারাম! তারা যেমন আপনার প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর আপনাকে বিবাহ দিয়ে রহম করেছে, আপনিও তাদের প্রয়োজনের সময় তাদের উপর রহম করুন। শুধু দোয়া পড়লে হক আদায় হবে না।
আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন: هن لباس لكم وانتم لباس لهن.
নারীরা পুরুষদের পোশাক, আর পুরুষরা নারীদের পোশাক।
পোশাক যেমন মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত প্রয়োজন হয়, ঠিক হালাল সঙ্গীও মৃত্যু পর্যন্ত প্রয়োজন হয়। স্ত্রী বা স্বামী শুধু যৌন তৃপ্তির জন্য নয়, বরং হাজারও বিষয়ে প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে বৃদ্ধ বয়সে হালাল জীবনসঙ্গীর আরো বেশি প্রয়োজন হয়, যেদিন ছেলে মেয়েরা নিজ নিজ সংসারে ব্যস্ত হয়ে যায় তখন যদি বৃদ্ধ বাবা মার হালাল সঙ্গী না থাকে তারা বড় একা হয়ে যায়। একা একা অনেক কষ্টে সময় পার করে। এমন হাজারো বৃদ্ধ ও বৃদ্ধার কান্না আমাদের কাছে আছে।
এই মুহূর্তে সন্তানদের উপর জরুরি হলো, নিজ দায়িত্বে বাবা-মার বিবাহের ব্যবস্থা করে দেওয়া। কারণ আপনার যখন বিবাহের প্রয়োজন হয়েছিল আপনার বাবা-মা আপনার বিয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল, আজ যদি কোন বাবা-মার বিয়ের প্রয়োজন হয় আর কোন ছেলে তার বিয়ে না দেয়, অথবা বিয়ের বিরোধীতা করে (عقوق الوالدين) উকুকুল ওয়ালিদায়ীনের অন্তর্ভুক্ত হবে, অবাধ্য সন্তান বলে বিবেচিত হবে। رب ارحمهما كما ربياني صغيرا এটা শুধু মুখে পড়লে হবে না।
অনেক ছেলে মেয়েদের দেখা যায়, সমাজের লজ্জায় অথবা সম্পদের ভাগ হয়ে যাবে বলে, বাবাকে বিবাহ করতে দেয় না, অথবা মা অন্য কোথাও বিবাহ করলে এটাতে লজ্জাবোধ করে, এমন সন্তানরা আল্লাহ তাআলার রহমত থেকে দূরে থাকবে।
আপনি সমাজের কথা ও স্বার্থের কথা চিন্তা না করে, আপনার পিতা-মাতার প্রয়োজনের দিকে খেয়াল করুন এবং সিদ্ধান্ত নিন। বয়কট করুন এই নুংরা সমাজের রীতিনীতি। আপনার বাবা মার প্রয়োজনের দিকে খেয়াল করুন।
আপনি যদি আপনার বাবা-মায়ের উপর এমন কোন অবিচার করেন, হতেও পারে আল্লাহতালা আপনার বৃদ্ধ বয়সে এমন বিপদে ফেলবে। আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন।
প্রয়োজন হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।