একাধিক বিবাহের বাস্তবতা: দীনী জীবন ও আল্লাহর বরকত।
মাশাআল্লাহ……
যদিও ব্যক্তিগত বিষয় শেয়ার করা অনেকেই অনুচিত মনে করেন, কিন্তু উম্মাহের হিম্মত আফযায়ী ও কিছু বাস্তবতা দেখানোর জন্যই আমার ব্যক্তি জীবন থেকে একটু শেয়ার করলাম। কারণ মানুষ বাস্তবতা দেখলেই বিশ্বাস বেশি করে…..
আলহামদুলিল্লাহ, আমার চারজন স্ত্রী এক বাসাতেই দীনী বোনের মত মিল মুহাব্বতের সাথে থাকেন। আমরা এক দস্তরখানায় খানা খাই। বাসার এজতেমায়ী কাজগুলো ১ম, ২য় , ৩য় হিসেবে তারতীবের সাথে করে। কেউ অসুস্থ হলে সকলেই খিদমাহ করে। তার রান্না বাড়ি অন্যরা করে দেই। এক স্ত্রীর সন্তান ৪ মায়ের আদর পাই। আলহামদুলিল্লাহ ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ।
দেখুন আল্লাহ তায়ালা কত বরকত দিয়েছেন। বাসাটিতে বাড়ি ওয়ালা নিজেরা থাকতেন। নিজেরা থাকবে বলে অনেক রুচিশীল করে বানিয়ে ছিলেন। বাসাটির ভাড়া মাত্র ১৫ হাজার টাকা। তাহলে আমার এক স্ত্রীর বাসা বাবদ মাত্র ৪ হাজার টাকা খরচ হয়। এক সাথেই রান্না হয়, তাতেও অনেক বরকত হয়। আলহামদুলিল্লাহ, আমার স্ত্রীরা মধ্যম ফ্যামিলির স্ত্রীদের মত জীবন জাপন করেন, অতএব প্রসাধনীতেও খুব একটা খরচ হয় না। আলহামদুলিল্লাহ, তাদের অসুস্থতাও অনেক কম, তাই ডাক্তারের খরচও অনেক কম লাগে। এগুলোই আল্লাহর দেওয়া বিশেষ বারাকাহ। আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের এই বিল্ডিং এ অনেক ভাইয়ের মাসনা, সুলাছারা থাকেন। সকলেই খুব ভালো আছেন।
আপাতত আমার ৪ স্ত্রীর দায়িত্ব বহন করতে সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়। বারাকাহ অনেক দিক দিয়ে হয়। সব থেকে বড় বরকত হলো: আল্লাহ তায়ালা আমাকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদের মধ্যে থেকে ৪টি অমূল্য সম্পদ খায়রে মাতা’ দান করেছেন।
والله يختص برحمته من يشاء…(من كثرة الأزواج والأولادو الحكمة)
আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেছেন: যদি তোমরা গরিব হও, বিবাহ করলে আল্লাহ তাআলার ফজলে তোমাদেরকে বড়লোক বানিয়ে দেওয়া হবে।
গত কাল আমার বাসায় আব্বু, আম্মু, বোন, ভাগিনারা, ফুফু ফুফা এসেছিলেন। তারা খুব খুশি হয়েছেন। আব্বু বলছেন, মামুন! কী জান্নাতী পরিবেশ, মাশাআল্লাহ। তোমার জন্য দোয়া থাকলো। উম্মাহ বুঝে না তাই একটু খারাপ বলতে পারে, এক আল্লাহর দিকে তাকিয়ে কাজ করতে থাকো। আল্লাহ একেক জনকে একেক কাজের জন্য ব্যবহার করেন।
মুহতারাম! আপনিও আমার মুসলিম বোনদের দায়িত্ব নিন। “সেভ আওয়ার সিস্টারস”। ইনসাফ কায়েম করার পূর্ণ হিম্মত করুন। হযরত ইবনে আব্বাস রা: বলেন: বিবাহ করো, কারণ এই উম্মতের মধ্যে উত্তম তারা, যাদের স্ত্রী বেশি। (বুখারী) যে অনেক অসহায় নারীর দায়িত্ব নেবে সে উত্তম হবে না কেনো।
মুহতারাম! আমাদের IMB-তে প্রায় প্রতিদিন দুই পাঁচ জন অসহায় নারী যোগাযোগ করেন। বিভিন্ন বয়সের নারী, বিভিন্ন স্তরের নারী। তারা যে কি কষ্টে জীবন যাপন করেন, তাদের অবস্থা শুনলে বুঝতে পারবেন। তাদেরকে হেফাজত করার মত সুপুরুষের অনেক অভাব । কেউ সমর্থ্য রাখলেও সমাজের ভয়ে বা সমাজের রীতিনীতির কারণে পারে না। দায়িত্বশীল ভাইয়েরা একটু এগিয়ে আসুন। সাহাবাদের মত অসহায়, বিধবা, ডিভোর্সী নারীদেরকে বিবাহ করে হেফাজত করুন। নিজেও যৌবনের গুনাহ থেকে হেফাজত হওয়ার চেষ্টা করুন।
আর রিজিকের কোন ভয় করবেন না। রিজিকের মালিক একমাত্র আল্লাহ তা’আলা। যারা রিযিকের ভয়ে বিবাহ করে না, অথবা রিজিকের ভয়ে অধিক সন্তান নেয় না, তাদের ঈমানী মেহনত করা দরকার।
হাঁ যারা শুধু নারীদেরকে বিবাহ করে, কিন্তু দায়িত্বের ব্যাপারে অবহেলা করে। গোপনে রেখে সামাজিক ও পারিবারিক মর্যাদা থেকে বঞ্চিত রাখে, একজন নারীর হক নষ্ট করে, তার জন্য একাধিক বিবাহ কেনো, একটা বিবাহ করাই মাকরূহ।
বি:দ্র: সকল স্ত্রীকে এক বাসাতে রাখা উত্তম, অনুত্তম কিছুই না। যে যেভাবে সংসার চালাতে পারে চালাবে। তবে যদি স্ত্রীরা আলাদা বাসায় থাকতে চায় বা তাদের প্রয়োজন হয়, তাহলে আলাদা বাসা দেওয়া জরুরী। এটা তাদের হক। এটা ডিমান্ডের সাথে সম্পর্ক। হাঁ আমার তারা এক বাসাতে থাকতে নিজ ইচ্ছায় পছন্দ করেছে।
যোগাযোগ করতে মেসেজ করুন:
হোয়াটসঅ্যাপ:
wa.me/+8801722446038 (শুধু মেসেজ)
wa.me/+8801712572359 (কল ও মেসেজ)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *