আলহামদুলিল্লাহ, বাংলাদেশের অনেক মুসলিম ভাই ইসলামের বিধানকে মন থেকে পছন্দ করে, একাধিক বিবাহ করার ইচ্ছা করেছেন অথবা একাধিক বিবাহ করার জন্য চেষ্টা করছেন। সকলকে জানাই আন্তরিক মোবারকবাদ।
ভাইদের মধ্যে কারোর পূর্বের স্ত্রী ও পরিবার রাজি আছে, কারোর রাজি নেই। কারোর আর্থিক সচ্ছলতা আছে, কারোর নেই।
কেউ একান্তই নিজের জরুরতের জন্য বা গুনাহ থেকে হেফাজত হওয়ার নিয়তে করতে চাচ্ছেন, আবার কেউ সন্তান বেশি নেওয়ার জন্য বা কোনো অসহায় নারীর হেফাজত করার জন্য একাধিক বিবাহ করার নিয়ত করেছেন।
কেউ পাত্রী খুঁজে পাচ্ছেন, কেউ পাত্রী পেলেও করতে পারছেন না।
কারোর ইনসাফ করার মত হিম্মত ও সামর্থ্য আছে। আবার অনেকেই আছেন যে একাধিক বিবাহের নিয়ত করলেও তার হিম্মত ও সামর্থ্য নেই। আরও অনেক হালাত….
নারীরাও আলহামদুলিল্লাহ উলামায়ে কেরামদের মেহনতে বাস্তবতা ও ইসলামের সৌন্দর্য বুঝে ২য় ৩য় স্ত্রী মাসনা সুলাছা হওয়ার জন্য হাজার হাজার তৈরি হচ্ছেন।
তবে অনেক সমস্যা। কেউ নিজে বুঝলেও পরিবার মানছে না।
কেউ রাজি হলেও যোগ্য আদেল সুপুরুষ ছেলে খুঁজে পাচ্ছে না। যারাই বিয়ে করতে চায়, গোপনে রাখতে চায়, সামাজিক মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করতে চায়, নারীর সন্তান থাকলে তার এতীম ও বাবাহারা সন্তানসহ বিয়ে করতে চায় না, ইত্যাদি অনাদর্শিক কথাবার্তা।
অনেকে গোপনে বিয়েতে রাজি হোন, আবার অনাদর্শিক ছেলেকে বিয়ে করে অবহেলিত হয়ে নিজেই কষ্ট পান।
Ideal Marriage Bureau-IMB পক্ষ হতে IMB-র সদস্যবৃন্দ ও সকলের প্রতি কিছু আরজ ও সুপরামর্শ। ইসলাম ও অভিজ্ঞতার আলোকে কথাগুলো শেয়ার করলাম, যারা একাধিক বিবাহ করতে চান বা যে নারীরা দ্বিতীয় তৃতীয় স্ত্রী হতে তৈরি হোন, অনুগ্রহ করে এই পরামর্শগুলোকে ফলো করবেন । আশা করি পরবর্তী লাইফে আপনার কষ্ট হবে না, ইনশাআল্লাহ।
বিশেষ পরামর্শের জন্য যে কেউ আই এম বির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
- পুরুষদের প্রতি।
- নারীদের প্রতি।
১. পুরুষদের প্রতি:
মুহতারাম! যেহেতু বর্তমানে আমাদের দেশ তাগুতি সমাজ ব্যবস্থায় পরিচালিত, অতএব যদি কেউ এই বিধানটি পালন করে , তার উপরে সামাজ, পারিবার, বড় স্ত্রী থেকে বা রাষ্ট্রীয়ভাবে কিছু কষ্ট আসতে পারে। কারণ তারা তাগুত। তবে আল্লাহর নুসরাত আপনার সাথে থাকবে, যদি সবর করতে পারেন আর অটল থাকতে পারেন।
মসজিদের ইমামতি ছুটে যেতে পারে, সরকারি চাকরিও ছুটে যেতে পারে, আত্মীয়-স্বজন পরিবার বয়কট করতে পারে, এমনকি বড় স্ত্রী ডিভোর্স নিয়ে চলেও যেতে পারে। আরো কত কিছু হতে পারে তা আপনারা সকলেই জানেন। কারণ এই সমাজ ও সমাজের লোকেরা তাগুতি সমাজ ব্যবস্থাকেই বেশি পছন্দ করে। এটাই তো ইসলাম আর তাগুতের লড়াই।
মুহতারাম! আপনি যদি সত্যিই মনে করেন, গুনাহ থেকে হেফাজতের জন্য বা নিজের সুখময় জীবনের জন্য অথবা কোনো অসহায় নারীর জন্য একাধিক বিবাহ করা প্রয়োজন, তাহলে যদি এই কষ্টগুলোকে সহ্য করতে পারেন, দুনিয়াবি কষ্টকে কষ্ট না মনে করেন, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আল্লাহ তাআলা আপনাকে কামিয়াব করবেন, ইনশাআল্লাহ।
• কেউ দ্বিতীয় তৃতীয় স্ত্রীকে গোপনে রাখবেন না। বিয়ের সময় কাউকে না বলতে পারলেও এক দুই দিনের মধ্যেই সকলকে জানিয়ে দিবেন, আমি হালাল ভাবে আরেকটি বিবাহ করেছি ।তারপরে যা হবার তা হবে। কষ্ট আসলে সহ্য করবেন, কেউ বুঝতে চাইলে বুঝাবেন, সমাজের লোকেরা কটু কথা বললে পাত্তাই দিবেন না। আর আল্লাহর উপর ভরসা করে চলতে থাকবেন। আল্লাহর নুসরত আপনার সাথে থাকবে ইনশাআল্লাহ।
গোপনে রাখার অনেকগুলো ক্ষতিকর দিক রয়েছে। সারাদিন আপনাকে মিথ্যা কথা বলা লাগবে, চুরি চুরি খেলা লাগবে, দ্বিতীয় স্ত্রীর পূর্ণ হক আদায় করতে পারবেন না। তাদেরকে সামাজিক মর্যাদা দিতে পারবেন না। অতএব কখনোই স্ত্রীকে গোপনে রাখবেন না। হালাল কাজ করবেন প্রকাশ্যে। কাকে ভয় করবেন? আল্লাহকে না সমাজকে?
• যদিও আল্লাহ তা’আলা আপনাকে যে কোন মুসলিম নারীকে ওয়াহেদা, মাসনা, সুলাছা, রুবাআ হিসেবে বিবাহ করার অনুমতি দিয়েছেন, যে কাউকেই আপনি করতে পারবেন।
তবে অসহায়, ডিভোর্সি, বিধবা, ইয়াতিমা, একটু কম সুন্দরী, বা গরিব অথবা নিজের স্ট্যাটাস থেকে একটু কমস্তরের নারীদেরকে বিবাহ করার চেষ্টা করুন। আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের দিন সম্মানের মুকুট পরিধান করাবেন।
প্রথম হোক বা দ্বিতীয়, হাফেজা, আলেমা, শিক্ষিত, সুন্দরী , চক্ষু শীতলকারী, বড় লোকের মেয়ে হলে করবো, না হলে করব না, এমন মনোভাব রাখবেন না। বিশেষ করে একাধিক বিবাহের ক্ষেত্রে নারীদের হেফাজতটাকেই মূল উদ্দেশ্য রাখা উচিত।
• নতুন যাকে বিয়ে করবেন, তার সাথে সকল বিষয়ে ইস্পষ্ট কথাবার্তা বলে নিবেন। আপনার আর্থিক অবস্থা আপনার পারিবারিক অবস্থা, সব বিষয়ে। মিথ্যার আশ্রয় নিবেন না। হুট করে বিবাহ না করে ভালোভাবে যাছাই বাছাই করে নিবেন, যে তিনি পূর্ণ ইসলামী আদর্শবান নারী কি না।
• নতুন যাকে বিবাহ করবেন, তার সকল বিষয় শুনবেন, তার চাহিদা কতটুকু জানবেন, আপনি তা পূরণ করতে সক্ষম কি না? তার আগের সংসারের অবস্থা শুনবেন, এরপরে ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিবেন। হুটহাট করবেন না। আমরা চাই, কখনো কোন পুরুষ যেন কাবিন ব্যবসায়ী অসৎ নারীর খপ্পরে না পড়ে। আবার কোন ভালো নারীও যেন কোন অসৎ লোকের খপ্পরে না পড়ে।
• কোন নারীর সন্তান থাকলে সন্তান মেনে নিয়ে বিবাহ করার চেষ্টা করবেন। কখনোই সন্তানকে তার মার থেকে আলাদা করবেন না, এটা বড় জুলুম হবে। তবে তার বাবা বেঁচে থাকলে বাবার সাথে যোগাযোগ রাখতে দিবেন। কখনো অন্যের ছেলেকে নিজে বাবা হিসেবে পরিচয় দিবেন না, বাবার আদর ও ভালোবাসা দিবেন।
• ঝামেলা হলে দীনেরর উপর অটল থাকতে পারবেন কি না এটা নিশ্চিত হয়েই বিয়ে করবেন। কারণ বাংলাদেশে এখনো ইসলামের সেই পরিবেশ হয়নি । ইনশাআল্লাহ IMB পরিবেশ তৈরি করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে । হয়তোবা এই কষ্টগুলো আর ৫/৭ বছর পর থাকবে না।
• বড় স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক নষ্ট করে, তার হক আদায় না করে, দ্বিতীয় বিবাহ করবেন না। যে বড় স্ত্রীর হক পূর্ণভাবে আদায় করে না বা এক নারীর উপরেই জুলুম অত্যাচার করে তার জন্য দ্বিতীয় বিবাহ করা জায়েজ নেই। আর হকগুলো কী কী তা ওলামায়ে কেরামদের থেকে জেনে নিবেন অথবা IMB থেকে যোগাযোগ করে জেনে নিবেন।
• সর্বপ্রথম নিজ বাড়িতে সুপুরুষ হোন। অন্যথা বড় স্ত্রী পরবর্তী স্ত্রীদের উপর জুলুম করাবে, এমনকি এক সময় আপনিও তাকে তালাক দিয়ে দিবেন। এমন ঘটনা বহুৎ ঘটছে। এজন্য আপনি আগে নিশ্চিত হোন, আপনি সুপুরুষ কি না ? এগুলো ট্যাকেল দিতে পারবেন কি না। নাকি এই সাহস আপনার নেই। আপনি দ্বিতীয় বিবাহ করে স্ত্রীদেরকে সমর্যাদা দিতে পারবেন কি না? না বড় স্ত্রীর চাপে আবার তালাক দিয়ে দিবেন?
• স্ত্রীর হক ও একাধিক স্ত্রীর মাঝে আদালতের বিষয়গুলো না জেনে বিবাহ করবেন না। সম্পূর্ণটা জানবেন, বুঝবেন, এরপরে নিজেকে যোগ্য মনে করলে দ্বিতীয় বিবাহ করবেন, অন্যথায আপনি নিজেও কষ্ট করবেন, এই বিধানের ব্যাপারেও মানুষের ভুল ধারণা তৈরি হবে। আজ আমাদের সমাজে কিছু ভাই অনাদর্শিকভাবে ২য় বিবাহ করার কারণে একাধিক বিবাহ ইসলামের এই সুন্দর বিধানের ব্যাপারে অনেকের ন্যাগেটিভ ধারণা তৈরি হয়েছে।
আরো অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো ওলামা একরামদের থেকে জেনে নিবেন অথবা IMB সাথে যোগাযোগ করে জেনে নিবেন। তবে হতাশ হবেন না। ইসলাম অনেক সহজ, যদি পূর্ণ ফলো করতে পারেন আর হিম্মত করতে পারেন।
২. নারীদের প্রতি:
মুহতারামা! যারা ইসলামকে মন থেকে পছন্দ করে কারোর মাসনা সুলাছা হতে তৈরি হয়েছেন। কেউ বিধবা, ডিভোর্সি আবার কেউ বিশেষ কারণে অসহায়ত্বের দিন কাটাচ্ছেন, এতিম ও বাবাহারা সন্তানদের নিয়ে বড় কষ্টে দিন পার করছেন, অতএব একজন দায়িত্বশীল স্বামীর আশ্রয় গ্রহণ করার নিয়ত করেছেন, যদিও তা দ্বিতীয় স্ত্রী হোক বা ৩য় স্ত্রী।
কিন্তু এই নোংরা সমাজ ও সমাজের ভদ্রলোকগুলো আপনার হালাল বিবাহকে পছন্দ করবে না, আপনার ব্যাপারে বদনাম রটাবে, আপনাকে লাঞ্ছিত করবে, এমনকি আপনার সাথে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করার হুমকি দিবে। আপনি একাকীত্ব জীবন কাটান, অসহায়ত্বের জীবন কাটান, কারোর তেমন সমাধানমূলক ফিকির নেই। আপনি কারোর দ্বিতীয় স্ত্রী হলেই সমালোচনা শুরু।
অতএব যদি আপনি এগুলোকে মেনে নিতে পারেন, ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আপনাকে কামিয়াব করবে। সমাজের লোক খারাপ বললেও আল্লাহ আপনাকে সুখে ও শান্তিতে রাখবে। এইজন্য বোন! সমাজের ভয়ে কষ্টের জিন্দেগী না কাটিয়ে কোন একজন সুপুরুষের দ্বিতীয় স্ত্রী বা তৃতীয় স্ত্রী হয়ে দাম্পত্য জীবন কাটালেও বহুত ভালো হবে।
• যদি কোন পাত্র গোপনে রাখতে চায় কখনোই তার সাথে বিয়ে বসবেন না। প্রথম প্রথম সহ্য হলেও কিছুদিন পরে এটাকে আর সহ্য করতে পারবেন না। তখন নিজের জীবনে আবার আসবে অশান্তির ঝড়।
• ৫/১০ লাখ টাকা মোহর, জমি লিখে দেওয়া, ফ্ল্যাট লিখে দেওয়া এমন কোন দাবি করবেন না। ভালো ছেলে পেলে সহজেই বিবাহ করে ফেলবেন, এতে জিন্দেগীতে বরকত হবে।
• চেষ্টা করবেন পারিবারিকভাবেই করতে, কিন্তু যেহেতু আমাদের এই পরিবারের লোকগুলো অনইসলামিক। অতএব যদি আপনার পাশে কেউ না থাকে নিজেও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন, এতে ইসলামে কোন সমস্যা নেই। নিজের কবর নিজের , নিজের কষ্ট নিজের, নিজেকেই এর সমাধান করতে হবে।
• আপনার যদি মনে হয় সতীন সহ্য করতে পারবেন না, তাহলে কারোর দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্ত্রী হবেন না। অন্যথায় বিবাহ করার পর তার বড় স্ত্রী হক নষ্ট হবে। পুরো পরিবারের মধ্যে অশান্তি শুরু হবে। আপনার অসহায়ত্ব দূর করতে গিয়ে একজন মানুষ ও পরিবার অসহায় হয়ে যাবে।
• টাকার লোভে হোক বা আবেগে পড়ে, কোন অনাদর্শিক ছেলেকে, অনাদরর্শিকভাবে বিবাহ করবেন না। যেখানে কোন মিথ্যার আশ্রয় থাকবে, আগে বাড়বেন না।
• বিশেষ করে ডিভোর্সি বোনরা ! আপনি নিজে চিন্তা করবেন, আগের ডিভোর্সটি কেনো হয়েছে? যদি দোষ আপনার হয়েছে বলে মনে হয়, তাহলে সেগুলো শুধরে নেবেন। যেন দ্বিতীয় সংসারে এসে ঠিক ওই কারণে আবার ডিভোর্স না হয়।
• বেশি ডিমান্ড করবেন না। যদি এমন কোন ছেলে পেয়ে যান যার দীন সুন্দর এবং আখলাক সুন্দর, তাকে বিবাহ করে ফেলুন। যদিও সে গরিব হয়, যদিও সে দেখতে কালো হয়, যদিও দেখতে ছোট হয়। টাকা না দেখে দীনকে প্রাধান্য দিবেন। ইনশাআল্লাহ, আপনার রিজিক আল্লাহ তায়ালা নিজ জিম্মায় আপনার কাছে পৌঁছে দিবেন।
আরো অনেক বিষয় রয়েছে, IMB-র সাথে যোগাযোগ করে জেনে নিবেন, সুপরামর্শ নিবেন।
✅ যাদের বর্তমানে একাধিক স্ত্রী রয়েছে, তারা পরিবার কীভাবে পরিচালনা করবেন, স্ত্রীরা কীভাবে থাকবে, চলবে সে বিষয় নিয়ে সামনে লেখা হবে ইনশাআল্লাহ । আমাদের পেজে নজর রাখুন….
যে সকল ভাই ও বোনেরা IMB-র সাথে যোগাযোগ করতে চান এবং IMB থেকে খিদমাহ গ্রহণ করতে চান, IMB-র ফরমটি পূরণ করুন এবং হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করুন।
Ideal Marriage Bureau-IMB
যোগাযোগ করতে অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপে
মেসেজ করুন:
wa.me/+8801712572359 (কল ও মেসেজ) MD-IMB
wa.me/+8801722446038 (শুধু মেসেজ, No call)
sbimarket.com